মেলা পরিষদের জন্য একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস। আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিজয়মেলা পরিষদের তহবিলে এখন এক কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। বিজয়মেলা আয়োজনের জন্য সিজেকেএসকে দশ লাখ টাকা দিতে হয়। প্রতিবছর হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। ভবিষ্যতে মেলা পরিষদের জন্য একটি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মাসব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হচ্ছে। বিকেল তিনটায় মেলা উদ্বোধন করবেন বিজয়মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে মেলার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৩ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের গোলচত্বরে বিজয় শিখা জ্বালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালের পর বিগত ৩৩ বছর বিজয়মেলা হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রামে। যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করার লক্ষ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারও বিজয়মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে ইলেকট্রিক চেয়ারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্মৃতি বিজড়িত পুরোনো সার্কিট হাউসের ব্যক্তিগত নামের জাদুঘর বাতিল করে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর প্রতিষ্ঠা এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজয়মেলা পরিষদের কো চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, অর্থ সচিব পল্টু লাল সাহা, এসএম মাহবুবুল আলম, সৈয়দ মাহমুদুল হক, কো চেয়ারম্যান বদিউল আলম চৌধুরী, নৌ কমান্ডো আবু বকর, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সমাজসেবক ফরিদ মাহমুদ, আবদুল হালিম দোভাষ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ২৪
Leave a Reply